অনলাইন নিউজ ডেস্ক ::
প্রতিবেশী দেশ ভারতের শিলিগুড়ির কোনো অজানা উৎস থেকে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক তরঙ্গে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে অপারেটরটিকে সঙ্গে নিয়ে বিটিআরসি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে। এতে প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। কিন্তু উৎস খুঁজে পায়নি সংশ্লিষ্টরা। সীমান্তে তরঙ্গ প্রতিবন্ধকতা এড়াতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাৎসরিক ভিত্তিতে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিটিআরসির ২০১৫-১৬ বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রতিবেদনটি উত্থাপন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পূর্ব-দক্ষিণের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ছাড়া বাংলাদেশের অবশিষ্ট সীমান্ত ভারতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বেতার তরঙ্গের প্রকৃতিগত কারণে সীমান্তবর্তী এলাকায় পাশ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় তরঙ্গ প্রতিবন্ধকতার আশঙ্কা থাকে। এর আগে ২০১২ সালে সীমান্তবর্তী এলাকায় সেলুলার মোবাইল নেটওয়ার্কে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে প্রতিবন্ধকতা পাওয়া গিয়েছিলো। যা ভারতের দূতাবাসকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছিলো।
এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সীমান্তবর্তী বি-বাড়িয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, চাঁদপুর জেলায় সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটর এয়ারটেলের অনুকূলের বরাদ্দ করা তরঙ্গে প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ পাওয়া যায়। যা বিটিআরসির অনুসন্ধানে ভারতীয় মোবাইল আপারেটর রিলায়েন্স জিও-এর কারণে হচ্ছে বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
এছাড়া রংপুর, নীলফামারি, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নওগাঁ জেলায় সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের অনুকূলে বরাদ্দ করা তরঙ্গে প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ পাওয়া যায়। বিটিআরসি ও গ্রামীণফোনের যৌথ তরঙ্গ পরিবেক্ষণে ওই প্রতিবন্ধকতা ভারতের শিলিগুড়ি নামক স্থানের কোনো অজানা উৎস থেকে আসছে মর্মে ধারণা পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে নানা উদ্যোগ নেয় বিটিআরসি।
এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় নেটওয়ার্কের কারণে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ও সমস্যা সমাধানে আলোচনার জন্য ভারতীয় দুতাবাসের হাইকমিশনারের সঙ্গে বিটিআরসির বৈঠক হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাতে চলমান প্রতিবন্ধকতার একটি বিস্তারিত বিবরণ তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত: